"ধৈর্য ধরে একটু সময় নিয়ে পড়বেন। ফ্যামিলিগত বিষয়টি শেয়ার না করে পারলাম না। আমি পরিবারের মেজো সন্তান। বয়স ২১ বছর। আমরা ৩ভাইবোন মা বাবার সাথে ঢাকায় থাকি। আমি ছোটবলা থেকেই একটি বিষয় নিয়ে frustration এ আছি।
আমার বাবা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকতা। উনি একাধিকবার হজ্জ্ব করেছেন এবং এলাকায় উনার স্ট্যাটাস অনেক হাই। আমারবাবা অনেক আগে থেকেই বহু নারীর নেশায় মত্ত। আম্মুর সাথে বিয়ের পরও একাধিক নারীর সাথে পরকীয়ায় জড়িত। আব্বুর এ স্বভাবের কারনেবাসায় কোনো কাজের লোকও রাখা সম্ভব হয়নি। আজ ৬০+ বয়সেও
উনি উনার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট মেয়েদের সাথে গোপনে মেলামেশা করে ও বাসায় প্রায় প্রতিদিনই আম্মুর সাথে এটা নিয়ে ঝগড়া হয়। আব্বুকেআমরা ও ফ্যামিলির মুরিব্বিরা এটা নিয়ে অনেক বোঝালেও কোনো লাভ হয়নি।
যেহেতু আমাদের ওয়ার্নিং এ কোনো কাজ হয়নি তাই আম্মু ও আমরা মিলে প্ল্যান করি আব্বুর অফিসের বসকে এই পরকীয়ার কথা জানাব, কিন্ত পরেভাবলাম এতে করে মানসম্মান তো যাবেই, চাকরিও চলে যেতে পারে। আর চাকরি গেলে আমরা পথে বসব ও আমার পড়াশুনাও বন্ধ হয়ে যেতেপারে। এই লকডাইনের টাইমে আব্বু ফোনে ঐ মহিলার সাথে কথা বলা ও মেসেজ নিয়ে আম্মুর কাছে ধরা পড়ে ও বাসায় তুলকালাম অবস্থা তৈরীহয়। আম্মু অনেক কান্নাকাটি করে।
ছোটবেলা থেকে এই দৃশ্য দেখতে দেখতে বড় হওয়ায় বাবার প্রতি একটা ঘৃণা তৈরী হয়ে গিয়েছে। আব্বুকে কি কোনো ভাবে এই পথ থেকে ফেরানোযায়? অভিজ্ঞদের কাছে পরামর্শ জানতে চাচ্ছি।🙂
কেউ বাজে মন্তব্য করবেন না।"
Another One's comment (female): "একটা কথা বলি? তাকে তার মতো থাকতে দিন। নারী নেশা এমন বাজে জিনিস যে যাই করুন কিছুতেই সে এটা ছাড়বে না।তার পুরুষাঙ্গ বিকল হয়ে গেলেও সে হাত দিয়ে কাজ চালাবে। আপনারা যদি তার কাছ থেকে ভরণপোষণ ঠিকমতো পেয়ে থাকেন তো আপনারাআপনাদের মতো থাকুন। তাকে বিন্দুমাত্র পাত্তা দেবেন না। কথা বলা বন্ধ করে দিন সম্ভব হলে। নিজেরা উপার্জন এর ব্যবস্থা করতে পারলে আলাদাহয়ে যাবেন। শুভ কামনা রইলো।"
আসলে নেশা ভালো হোক কিংবা খারাপ যেটাই হোক, নেশার আদল থেকে মানুষকে ততক্ষণ বের করা যায় না যতক্ষননা সে নিজে মন থেকে চায়। ইয়াবা, কোকেন এইসব নেশাকারী শুধুমাত্র নিজেকে নষ্ট করে। কিন্তু নারীর নেশা নিজেকে, নিজেরপরিবারকে এবং যার সাথে সম্পর্ক তার পরিবারকেও ধ্বংস করে দেয়। আর ওনার নেশা টা বেশ mature হয়ে গেছে। আপনারা চাইলেই আর সহজেছাড়াতে পারবেন না যদি না সৃষ্টিকর্তা চাহেন তো!
যাই হোক, আপনারা ভাইবোনেরা দ্রুত নিজেদের পায়ের নিচের মাটি শক্ত করার চেষ্টা করুন। আপনার বাবার অর্থ ছাড়াই যেন আপনারা নিজেদেরপথ চলতে পারেন সে ব্যাবস্থা করুন। হয়তো কোন নারীর কুপরামর্শে তিনি আপনাদের ব্যাপারে অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত নিয়ে বসতে পারে। আর ঘরেতিনি থাকলে পরক্রিয়ার ভয়ংকর শাস্তি সম্পর্কিত হাদিস বা ভালো ওয়াজ ঘরে চালিয়ে তার সাব কন্সিয়াস মাইন্ডটাকে একটু নাড়া দিতে পারেন।যদিও তার প্রতি আপনাদের জঘন্য রকমের ঘৃণা এবং সে ঘৃণা ছোট বেলা থেকেই তারপরেও যদি পারেন তার সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করেন।ওনার সঙ্গে প্রচুর গল্প করেন। আপনার মা সহ সকলে তার সাথে হাসি খুশি থাকার জন্য চেষ্টা করুন। নতুন কোন সুন্দর জায়গায় ঘুরতে যান। তারজন্য ছোট্ট কিন্তু তার ভালো লাগবে এমন কোন জিনিস উপহার দিন। যদিও টা হয়তো আপনাদের পক্ষে সম্ভব না তারপরেও বলা এ কারণে যেঅনেক দিন থেকেই এই সমস্যা থাকায় আপনাদের ভালো স্মৃতি খুবই কম। ভালো স্মৃতি মানুষের মাঝে ভালবাসা আর সৌহার্দবোধ বাড়িয়ে দেয়। আরঅবশ্যই চেষ্টা করবেন তাকে এইসব ব্যাপারে কিছু না বলার। কেননা, তিনি এইসব করার পরে নিজে নিজে ঠিক করে রাখেন যে আপনারা তাকে এইব্যাপারে প্রশ্ন করলে বা ধরা পরলে কি করবেন। তাই তাকে প্রশ্ন করা মানে তার পরিকল্পনাকে success করে দেওয়া।
সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, নিজেকে ভালো রাখুন। সকলকে নিয়ে নিজে ভালো থাকাটাই সার্থকতা। নিজেকে ভালো থাকতে পারলে দেখবেন পাশেরমানুষটাকেও ভালো রাখতে পারছেন। আপনার পরিবারের একে ওপরের প্রতি সাপোর্টের খুব প্রয়োজন। আজ বেঁচে আছি কাল নাও থাকতে পারি।ক্ষণিকের এই জীবনে ভালো থাকাটাই বড় কথা।
আবেগের বসে অনেক কথা লিখে ফেললাম। দোয়া রইলো আপনাদের তথা পারিবারিক সমস্যায় জর্জড়িত সকল পরিবারের জন্য। মহান রব্বুল আলামিন যেন সকলকে হেদায়াত দান করেন।